এশিয়ার চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ঘটে। তবে এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোতে করোনাভাইরাসের প্রকৃত সংক্রমণ ঘটেছে ইউরোপ ও আমেরিকা আক্রান্তের কিছু পরে। মূলত এর জন্য কিছু বিশেষজ্ঞ পাশ্চাত্য দেশের নিম্ন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাকে দায়ী করলেও তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট মতোভেদ।
এক দল বলছেন, ভিটামিন ডি আমাদের ইনফ্যামেরেটরিতে সৃষ্ট সাইটোকাইনের মাত্রাকে কমিয়ে দেয় ও মাক্রোফাজকে বেশি কার্যকরী করে তোলে। ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আর এই ভিটামিন-ডি পেতে হলে সূর্যালোক খুবই জরুরি। যা এশিয়ার দেশগুলোতে ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
তবে ভারতের ড. বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় যদি এই ভাইরাসের প্রকোপ কম হতো, তবে মুম্বাইয়ে এই ভাইরাস কোনোভাবেই এতটা সংক্রমিত হতো না। এপ্রিল মাসে সেখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মার্চের তুলনায় অনেকটাই বেশি। অথচ এপ্রিল মাসেও সে দেশে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
ভিন্ন মতামত ও গবেষকদের গবেষণার মাঝে এশিয়াতেও বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু। সোমবার পর্যন্ত এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্তে সব থেকে শীর্ষ দেশ হলো তুরস্ক। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৫ ও মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ১৪০। তবে আক্রান্তের সংখ্যায় ইরান দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃতের সংখ্যায় দেশটি শীর্ষে রয়েছে। ইরানে মোট আক্রান্ত এক লাখ ২০ হাজার ১৯৮ ও মৃত্যুর সংখ্যা ছয় হাজার ৯৮৮।
এরপর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৯৬ হাজার ১৬৯ ও মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৯ জনের। চীনে ৮২ হাজার ৯৫৪, সৌদি আরবে ৫৪ হাজার ৭৫২, পাকিস্তানে ৪২ হাজার ১২৫, কাতারে ৩২ হাজার ৬০৪, সিঙ্গাপুরে ২৮ হাজার ৩৪৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তবে আক্রান্তের সংখ্যায় পুরো এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম। বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত ২৩ হাজার ৩৪৩ ও মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের।
আক্রান্তের তালিকায় নিচের সারিতে আছে মায়ানমার, নেপাল, ইয়েমেন, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, লাওস। এছাড়াও কম্বোডিয়া ১২২ জন আক্রান্তের সবাই বর্তমানে সুস্থ হয়েছে। নতুন সংক্রমণ না ঘটায় এখন পর্যন্ত কম্বোডিয়া এশিয়ার মধ্যে সংক্রমণ মুক্ত দেশ। ভুটান, লাওস, মাকাও ও কম্বোডিয়ায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা জানা যায়নি।
সূত্র : ওয়ার্ল্ডোমিটারস